
২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার
ঢাকা | জুলাই৩৬ নিউজ ডেস্ক
গণতান্ত্রিক সংস্কার ও সময়মতো নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে যেসব আশঙ্কা বিরাজ করছে, তা সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। আজ (বুধবার) যমুনা সরকারি ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টাকে কঠোর বার্তা দিয়ে মঞ্জু বলেন:
“আপনি যদি প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে না পারেন, আবার ভালো নির্বাচনও নিশ্চিত করা সম্ভব না মনে করেন, তাহলে পদত্যাগ করুন। বরং আমরা যারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগ্রহী, তারা মিলে আপনার নেতৃত্বেই একটি নির্বাচনী অ্যালায়েন্স গঠন করতে পারি।”
বিভক্ত গণঅভ্যুত্থন ও সরকারের ব্যর্থতা
মঞ্জুর অভিযোগ, গণঅভ্যুত্থনের অংশীদার রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে অনৈক্যের সুযোগ বারবার নিচ্ছে ফ্যাসিবাদ। তিনি বলেন, “আমরা ২ ভাগে বিভক্ত হয়েছি, সরকার এই বিভেদ রোধে কার্যকর কোনো ভূমিকা নেয়নি।”
তিনি জানান, সরকার থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে নির্বাচন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঘনঘন বৈঠকে বসবেন।
দুর্বল সরকার, জনগণের অনাস্থা
উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে দুই উপদেষ্টার আট ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকা এবং সচিবালয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন, “এই ঘটনাগুলোতে জনগণের মধ্যে উপদেষ্টাদের প্রতি অনাস্থা তৈরি হচ্ছে। দুর্বল সরকার দিয়ে সংস্কার এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।”
প্রোটোকল বৈষম্য ও রাজনৈতিক অবিচার
ব্রিফিংয়ে মঞ্জু বলেন, “কোনো কোনো দল রাষ্ট্রীয় প্রটোকল পাচ্ছে, সরকারি সুবিধা পাচ্ছে—অন্যরা পাচ্ছে না। এটা কি রাজনৈতিক বিমাতাসুলভ আচরণ নয়?”
দলগুলোর মধ্যকার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন একে অপরের বিরুদ্ধে যেভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে, তা গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করতে পারে।”
তিনি স্বীকার করেন, “শুধু সরকারের নয়, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থনের নেতৃবৃন্দের গ্রহণযোগ্যতাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ।”
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন:
সাঈদ নোমান – সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী)
হাদিউজ্জামান খোকন – যুব পার্টির সদস্য সচিব
আবু বক্কর সিদ্দিক – সহকারী অর্থ সম্পাদক
আজাদুল ইসলাম আজাদ – সহকারী প্রচার সম্পাদক